আমাদের শান্তিনিকেতন এবং গনেশ পূজা

আমাদের শান্তিনিকেতন এবং গনেশ পূজা
আমাদের শান্তিনিকেতন এবং গনেশ পূজা

আমাদের শান্তিনিকেতন এবং গনেশ পূজাঃ দিনটি ছিল ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩। সেদিন হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ার এক ঝড় বইতে দেখলাম। যদিও এ ঝড় কিন্তু মোটেই বিনাশকারী নয়, বরং মনোমুগ্ধকর, আপামর ভারতবাসীর গর্ব। আমাদের প্রাণের শান্তিনিকেতনে World Heritage Site ঘোষণা করেছে  UNISCO। আর গুরুদেবের প্রাণাধিক প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় আজ হয়েছে বিশ্বের প্রথম Living Heritage ইউনিভারর্সিটি।
সে সঙ্গে শান্তিনিকেতন এর প্রাকৃতিকও যেন মেতে উঠেছে হিল্লোলে। মৃদু বর্ষণের মাধ্যমে তার আনন্দ অশ্রু দিয়ে যেন বরণ করছে বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণকে।

আজ আমরা কলেই গর্বিত শুধু ভারতবাসী হিসেবেই নয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এর এক অংশ হতে পেরেও। একাদশ শ্রেণি থেকে শিক্ষাসত্র এর মাটিতে আমার প্রথম পথ চলা শুরু। আজ হয়েছি বিশ্বভারতীর আর এক পরিবার শিক্ষাভবনের সদস্য।

গুরুদেবের শিক্ষালয় থেকে উপলব্ধি করেছি ওনার প্রকৃত শিক্ষা যা কেবলই পুঁথিনির্ভর নয়, বরং আত্মার উন্নতিমূলকও। ওই শিক্ষা মানুষের সৃষ্টিশীলতা, নান্দনিকতার বিকাশ ঘটায় এবং তার সঙ্গে সঙ্গে গড়ে তোলে শিল্পদক্ষতাও। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে, “শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয়সাধন “। চার দেয়ালের বাইরে প্রকৃতির কোলে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতন এ ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। শুধুমাত্র একাডেমীক শিক্ষাই নয় পাশাপাশি সঙ্গীত চর্চা, অঙ্কন, ক্রীড়াচর্চা, শরীরশিক্ষা, শিল্পকলা, কৃষিবিজ্ঞান, পল্লীউন্নয়ন ইত্যাদি বহুমুখী শিক্ষাদান এই বিশ্ববিদ্যালয় কে যেন সর্বোচ্চ শিখরে উন্নত করেছে। ইউনিস্কো প্রদত্ত এই স্বীকৃতির মাধ্যমে যথাযর্থতা পেয়েছে বিশ্বভারতীর মূল মন্ত্র Where the World meets in a single nest যত্র বিশ্বং ভাবত্যেকনীড়ম্ অর্থাৎ যেখানে সমগ্র বিশ্ব মানবতার এক মিলনভূমিতে পরিণত হয়েছে। এটি একটি Living University  যেখানে সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সাধনের সাধনক্ষেত্র।

আমার পরম শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই এই মহান মনীষীকে যার বিদিত শিক্ষা চিন্তা ও নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা শান্তিনিকেতনকে এই তকমা প্রদান করেছে। তবে গুরুদেব ও বিশ্বভারতী সম্পর্কে যতই বলি ততই কম পড়ে, কারণ এঁনাদের মতো বহুমুখী প্রতিভা বান ব্যক্তির প্রতিভা প্রকাশ হয়ত শব্দের মাধ্যমে প্রকাশযোগ্য নয়।

সবশেষ বলবো-“মোদের প্রাণের সঙ্গে প্রাণে সে যে মিলিয়েছে এক তানে, মোদের ভাইয়ের সঙ্গে ভাইকে সে যে করেছে এক-মন।।


আমাদের শান্তিনিকেতন”
আ আশা আ আশা আ আমাদের শান্তিনিকেতন”।।

মালিয়াড়া হাটতলা হরিমন্দির কমিটি ও মালিয়াড়া
গ্রামবাসীর সহযোগিতা এবং ভালোবাসার আহ্বান পেয়ে
আমি সুকুমার মোদক বড়জোড়ার মা তারা সুইটস্- এর বিখ্যাত মণ্ডার সম্ভার (ম্যাঙ্গো মন্ডা, ক্ষীরের মন্ডা, তালের মন্ডা, কাঁঠালের মন্ডা) নিয়ে *মালিয়াড়া হাটতলা হরি মন্দির ঝুলন মেলা উৎসব (2024)”*-এ উপস্থিত ছিলাম।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে বড়জোড়ার মা তারা সুইটস্ – এর মন্ডা খ্যাতি অর্জন করার জন্য মালিয়াড়া হাট তলা হরি মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে পুরস্কৃত হয়ে আমি মালিয়াড়া হাটতলা হরি মন্দির কমিটি ও মালিয়াড়া গ্রামবাসীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।



সিদ্ধিদাতা গনেশ তুমি
তুমি সকলের পিতা
তোমার পুজো সবার অগ্ৰে
পূন্য তিথির পুন্য লগ্নে।

শিব পার্বতী পুত্র তুমি
জগৎ জোড়া খ্যাতি
তোমার আসন আলো করে
থাক তুমি আমার ঘরে।

গণপতি নাম তোমার
বাহন তোমার ইঁদুর
মতিচূড় তোমার অতি প্রিয়
তুমি আমাদের সকলের পূজনীয়।

নির্মল স্নিগ্ধ বাতাসে
তোমার পূজা শুক্লা চতুর্থীতে
২১ শে ভাদ্র শনিবার বোলপুরে
তোমাকে প্রণাম জানাই সপরিবারে।



আটা,আশ, আইচ, ইন্দ্র,করে, কাঁন্দু, কুন্ডু,কুরি, কোটাল, গুঁই,গুড়্যা, গুড়িয়া, চন্দ,চরিত, চাকি ,চাস, চৌধুরী, তরফদার, দই, দোত্ত , দত্তমোদক, দাঁ, দাম, দাস, বেরা,দাক্ষী, দাক্ষীক, দাসমোদক, দে, ধারা,ধাওয়া, নন্দী, নাগ, প্রামাণিক, বর, নিয়োগী, বরাট,বহেড়া, বড়াল, বিশ্বাস, বেজ, ভদ্র,ভদ্র, ভদ্র প্রামানিক, ভৌমিক, মন্ডল, মল্লিক,ময়রা, মজুমদার, মান্না, মাইতি, মিত্র, রায়, মোদক, রক্ষিত, রানার, সরকার, রায়চৌধুরী, রুদ্র, লাহা, শীল,সাহা,সাহু,দেসাহু, সাঁতরা, শিতর,সাহুমোদক, পাত্র, চন্দ্র, সিংহ, সান্যাল, গুপ্ত, বাগ, রুজ, সেন, দেমুদী,
হালুইকর,কামরুল, দফাদার, প্রধান, সাধুখাঁ।
উৎস ১৩৩৪ সালের খগেন্দ্রনাথ ভৌমিকের লেখা পদবির উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস গ্রন্থ হইতে সংগৃহীত।


(প্রাক্তন সদস্য শান্তিনিকেতন কর্মীমন্ডলী ও
প্রাক্তন কনভেনর শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা কমিটি)

মনীষী দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর 20 জন সহব্রতীসহ ১২৫০ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ (ইংরেজি ১৮৪৩ সালের ২১ ডিসেম্বর), বৃহস্পতিবার, বেলা তিনটের সময় রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ মহাশয় এর কাছ থেকে ব্রহ্মের নামে অঙ্গীকার করে দীক্ষা গ্রহণ করেন। কার্যত এই দিনটিকেই বলা যেতে পারে ব্রহ্মধর্মের সূচনা-দিবস। ‘ব্রাহ্মধর্ম’ নামটি অবশ্য তখনও হয়নি,’বেদান্ত প্রতিপাদিত ধম্ম ‘নামে এই নতুন ধর্মগ্রন্থটি তখন উল্লিখিত হত। সে যাই হোক, সে সময় অনেক শিক্ষিত বাঙালির মধ্যে ব্রহ্মধর্ম গ্রহণের যে বিশেষ আগ্রহ সঞ্চারিত হয়েছিল, তাতে কোন সন্দেহ নেই। মহর্ষিও (তিনি ‘মহর্ষি’) উপাধি অবশ্যই পান ১৮৬৭ সালে, কেশবচন্দ্র সেনের ‘ভারতবষীয় ব্রহ্মসমাজ ‘-এর কাছ থেকে) চাইতেন, এই ব্রাহ্মদের মধ্যে পারস্পারিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পাক। দীক্ষা গ্রহণের দু’বছর বাদে (ইং ১৮৪৫ সালের ২০ ডিসেম্বর, শনিবার) মহর্ষি সেই লক্ষ্যেই প্রথম পৌষমেলার সূচনা করেন গোরিটির বাগান বাড়িতে। এই প্রসঙ্গে

‘তখন ব্রহ্মদের মধ্যে পরস্পর এমন সৌহৃদ্য দেখিলাম, তখন আমার মনে বড়ই আহ্লাদ হইল। আমি মনে করিলাম যে, নগরের বাহিরে প্রশস্ত ক্ষেত্রে ইঁহাদের প্রতি পৌষ মাসে একটা মেলা হইলে ভালো হয়। সেখানে পরস্পরের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ-সম্ভববৃদ্ধি ও ধম্ম বিষয়ে আলোচনা হইয়া সকলের উন্নতি হইতে থাকিবে। আমি এই উদ্দেশ্যে ১৭৬৭ শকের ৭ই পৌষ পলতাথ পরপারে আমর গোরিটির বাগানে সকলকে নিমন্ত্রণ করি।-ইহাতে ব্রাহ্মদের একটি মহোৎসব হইয়াছিল।’

মহির্ষ প্রবর্তিত এই ব্রহ্মসম্মিলন ধারাবাহিক হয়েছিল কি না; হলেও কত বছর যাবত তা হয়েছিল-তথ্য-অপ্রতুলতার জন্য তা বলা মুশকিল। তবে ১৮৫৪ সালেও যে ব্রহ্মাদের সম্মিলন ও উৎসব হয়েছিল তার প্রমাণ আছে। কিন্তু সেবার উৎসব হয়েছিল পয়লা জানুয়ারি।

১৮৮৮ সালের ৮ মার্চ (১২৯৪ বঙ্গাব্দের ২৬ ফাল্গুন) শান্তিনিকেতন আশ্রমের জন্য প্রণীত ‘ট্রাস্ট ডিড’ বা অছিপত্রে মহর্ষি শান্তিনিকেতনে একটি মেলা বসাবার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তাতে লেখা হয়:
‘নিরাকার এক ব্রাহ্মের উপাসনা ব্যতীত কোন সম্প্রদায় বিশেষের অভীষ্ট দেবতা বা পশু, পক্ষী, মানুষ্যের বা মূর্তি বা চিত্রের বা কোন চিহ্নের পূজা বা হোম যজ্ঞাদি ঐ শান্তিনিকেতনে হইবে না। ধম্মাভাব উদ্দীপনের জন্য ট্রষ্টীগণ বর্ষে বর্ষে একটি মেলা বসাইবার চেষ্টা ও উদ্যোগ করিবেন। এই মেলাতে সকল ধম্ম-বিচার ও ধম্মালাপ করিতে পারিবেন। এই মেলার উৎসবে কোন প্রকার পৌত্তলিক আরাধনা হইবে না ও কুৎসিত আমোদ-উল্লাস হইতে পারিবে না, মদ্য মাংস ব্যতীত এই মেলায় সব্বাপ্রকার দ্রব্যাদি খরিদ বিক্রয় হইতে পারিবে। যদি কালে এই মেলার দ্বারা কোন রূপ আয় হয় তবে ট্রষ্টীগণ ঐ আয়ের টাকা মেলার কিম্বা আশ্রমের উন্নতির জন্য ব্যয় করিবেন।’


এই ডিড অনুসারে, এবং মহিষির ইচ্ছার প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করে, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টি ১৮৯৪ সাল থেকে এই মেলা পড়ে আসছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, মহষি নিজে কখনো শান্তিনিকেতন পৌষ মেলায় যোগ দেননি। তিনি শেষবার শান্তিনিকেতন আসেন ইং ১৮৮৩(১২৯০ বঙ্গাব্দ) সালে। তবে শান্তিনিকেতনে ব্রাহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠাসহ সবধরনের উদ্যোগ তাঁর সম্মতিক্রমেই সম্পাদিত হত তা বলায় বাহুল্য। ১৮৬৩ সালে রায়পুরের জমিদারের কাছ থেকে ভুবনডাঙ্গার শূন্য প্রান্তরে কুড়িবিঘা জমি মৌরসি পাট্টা নেওয়ার পর মহর্ষি ‘শান্তিনিকেতন গৃহ’নির্মাণ করেন। ওই গৃহের আদূরে ‘ব্রহ্মমন্দির’-এর ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয় ১২৯৭(ইং ১৮৯০) সালের ২২ অগ্রহায়ণ মন্দিরটির উদ্বোধন হয় পরের বছর ১২৯৮(১৮৯১) সালের ৭পৌষ। এই তথ্যটি উল্লেখ করা জরুরি এজন্য যে, শান্তিনিকেতনে মহর্ষির দীক্ষার সাম্বৎসরিক উপলক্ষে শান্তিনিকেতনে অন্তত আলাদা করে পৌষ- উৎসবের আয়োজন হয়নি। কেননা, ১৮৯৪ সালে শান্তিনিকেতনে যে ৭ পৌষ উদযাপন হয়েছিল, ‘তত্ত্ববোধিনী’প্রতিকার প্রতিবেদনে সেটিকে শান্তিনিকেতনে উদযাপিত মহর্ষির দীক্ষা দিবসের ‘চতুর্থ সাম্বৎসরিক দিবস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় ‘তত্ত্ববোধিনী’১৮৯১ সাল; অর্থাৎ মন্দির উদ্বোধনের বছরটিকেই শান্তিনিকেতনে ৭ই পৌষের কৃত্তি বর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।’তত্ত্ববোধিনী’র সাক্ষ্যের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কারণ প্রথমত: এটি স্বয়ং দেবেন্দ্রনাথের কাগজ। দ্বিতীয়তঃ সেসময়ের সাতই পৌষের ইতিহাসের প্রধান আকরপত্র এই কাগজটিই। যাই হোক,’তত্ত্ববোধিনী’র সাক্ষ্য অনুসারে শান্তিনিকেতনে শুরুর বছরটি (১৮৯১) ছিল আসলে মহর্ষির দীক্ষাগ্রহণের আটচল্লিশ বর্ষপূর্তির বছর। আর এই ১৮৯১ সালকে যদি, শুধু শান্তিনিকেতনে অনুষ্ঠিত মহর্ষির দীক্ষা গ্রহণের সাম্বৎসরিক উৎসবের ভিত্তিবর্ষ হিসেবে মেনে নিই, তাহলে ২০১৯ সালের উৎসবকে ‘অষ্টাবিংশত্যধিক শতবর্ষপূর্তি (১২৮ বর্ষপূর্তি) ধরতে হবে। কিন্তু ইদানীং ১৮৯৪ সালকে; অর্থাৎ শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা সূচনাবর্ষকে ভিত্তিবর্ষ ধরে সাম্বৎসরিক উৎসবের হিসাব বলা হচ্ছে। সেই হিসাবে ২০১৯ কালকে উৎসবকে ‘পঞ্চবিংশত্যধিক শততম'(১২৫ তম) বলে কোথাও কোথাও উল্লেখ করা হয়েছে।


এই সালতামামির একটা বিশেষ আবশ্যকতা রয়েছে। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়, শান্তিনিকেতনে পৌষ- উৎসব (মহর্ষির দীক্ষার সাম্বৎসরিক) আর পৌষমেলা একই সঙ্গে শুরু হয়নি।মহর্ষির ইচ্ছার মর্যাদা রক্ষার্থে এখানে পৌষ মেলা শুরু হয়েছিল সাম্বৎসরিকের সূচনার তিন বছর পর ১৮৯৪ সালে। সেই দিক থেকে ২০১৯ সাল হল পৌষমেলার ১২৫ বর্ষপূর্তির বছর। ১৮৯৪-এ পৌষ মেলা সূচনা হয় বলেই ১৯৯৪ সালে বিশ্বভারতী এই মেলার শতবর্ষ উদ্যাপন করেছিল। কিন্তু এখানেও একটা কথা স্মরণে রাখতে হয়, ১৯৪৩ এবং ১৯৪৬ সালে, যথাক্রমে মন্বন্তর ও সাম্প্রদায়িক হানাহানির জন্য পৌষমেলা স্থগিত রাখা হয়।’বিশ্বভারতী নিউজ’-এর প্রতিবেদনে ১৯৪৩ সালে (মহর্ষির দীক্ষা গ্রহণের শতবর্ষপূর্তির বছর) পৌষমেলার আয়োজন না হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, ‘In view of wide spread distress in the country it was considered proper not to hold mela this year.’। পৌষ মেলা স্থগিত হলেও মহর্ষির দীক্ষার সাম্বৎসরিক অনুষ্ঠান অবশ্য কখনো বন্ধ হয়নি। (তবে ২০১৪ সালে তৎকালীন উপাচার্য ও আধিকারিকদের একাংশ ঘেরাও থাকার কারণে ছাতিমতলায় ৭ পৌষের উপাসনা-অনুষ্ঠান বিঘ্নিত হয়।মহর্ষির আশ্রমে কোনও কারনেই এই দিনটির উদ্যাপন বিঘ্নিত হওয়া অবশ্যই কাম্য নয়।) পুরনো নথিপত্র ঘাঁটলে স্পষ্ট বোঝা যায়, ১৮৯৪ সাল থেকে মহর্ষির দীক্ষার সাম্বৎসরিক ও পৌষমেলা নিয়ে শান্তিনিকেতনের প্রায় অবিচ্ছেদে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে পৌষ -উৎসব। পৌষ মেলাটি ছিল সাম্বৎসরিক উৎসবের আনুষাঙ্গিক, কিন্তু ওতপ্রোত। উৎসবের মূল লক্ষ্য সাম্বাবৎসরিক উদ্যাপন।সাম্বাৎসরিক উৎসবের আয়োজন শান্তিনিকেতনের অবশ্যকৃত্য। সেইজন্যই অতীতে পারিপার্শ্বিক কারণে মেলা স্থগিত রাখা হলেও সাম্বৎসরিক অনুষ্ঠান আপৎকালেও বন্ধ রাখা হয়নি। কিন্তু কালে -কালে জনচিত্তের প্রবল জোয়ারে পৌষমেলাই হয়ে উঠেছে মুখ্য! এই দুইয়ের গুরুত্বের মূলগত তফাৎ সম্বন্ধে সবার ইতিহাস-সচেতনতা জরুরি। আমরা বলতে পারি শান্তিনিকেতনের পৌষ-উৎসবের মুখ্য প্রেরণা আত্মিক ও আধ্যাত্মিকজাতীয়। মেলাটা যেন তার লৌকিক মূর্তি। উপলব্ধির যেহেতু কোনো ‘দেশ ‘(space) হয় না, তাই তা বিমূর্ত (abstract); এবং উল্লম্ব (vertical)। অন্যদিকে মেলার একটা দৃশ্যগ্রাহ্য রূপ আছে, এবং সেই মূর্তির একরকম দৈনিক বিস্তার আছে বলে তার আকারটিকে কল্পনা করতে পারি অনুভূমিক (horizontal) হিসেবে। তত্ত্বগতভাবে শান্তিনিকেতনের পৌষ- উৎসবের আচারিক দিকটির সঙ্গে পৌষমেলার এইরকম একটা তফাৎ বিশ্বভারতী হয়তো নির্দেশ করতেও পারে! পৌষ -উৎসবের উপাসনা হল ব্যক্তিগত তথা সমবেত মানুষের আত্মিক নির্জনতার সাধনা। আর মেলা হল ভৌমগত  মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পারিক বন্ধনের এক নিবিড় সজনতার উপলক্ষ্য। 


রবীন্দ্রনাথের কাছে সাতই পৌষের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। ৭ পৌষের উপাসনা উপলক্ষে প্রদত্ত কবির ভাষণগুলি পড়লে বোঝা যায় দিনটিকে তিনি তাঁর অন্তরের কত গভীরে স্থান দিয়েছিলেন!১৩১৬(১৯০৯) সালের ভাষণে তিনি বলেছিলেন:
‘মহর্ষির ৭ই পৌষের দীক্ষার উপর আত্মার দীপ্তি পড়েছিল, তাঁর উপর ভূত-ভবিষ্যতের যিনি ঈশান তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল। এইজন্যে সেই দীক্ষা ভিতরে থেকে তাঁর জীবনকে ধনীগৃহের পোস্ত রকঠিন আচ্ছাদন থেকে সর্বদেশ সর্বকালের দিকে উদঘাটিত করে দিয়েছে। এবং সেই ৭ই পৌষ এই শান্তিনিকেতন আশ্রমকে সৃষ্টি করেছে এবং এখনো প্রতিদিন একে সৃষ্টি করে তুলেছে।’১৩১৫(১৯০৮) শালের ভাষণে বলেছিলেন, ‘সেই সাধকের (দেবেন্দ্রনাথ) জীবনের ৭ই পৌষকে আজ উদঘাটন করার দিন, সেই নিয়ে আমরা আজ উৎসব করব’।
       এই উদ্ধৃতিটি এবং প্রথম উদ্ধৃতির শেষ লাইনটি কবির চেতনার সাতই পৌষকে বোঝাবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর থেকে বোঝা যায় রবীন্দ্রনাথের কাছে ৭ পৌষ একটা ক্যালেন্ডারের তারিখমাত্র নয়; বরং তাই একটা সময় প্রতীক, একটা উচ্চ ভাবাদর্শের নাম। এইজন্য এইদিন বিদেশে থাকলেও তাঁর মন ব্যাকুল হয়ে থাকত সাতই পৌষের উপাসনার জন্য। ১৯১২ সালে আমেরিকা ভ্রমণরত অবস্থায় অজিতকুমার চক্রবর্তীকে লেখা কবির একটি চিঠি পড়লে বোঝা যায়,সাতই  পৌষ তাঁর শরীরী অবস্থান যে মুলুকেই হোক না কেন, মনটি কিন্তু পড়ে থাকত শান্তিনিকেতনেই এর পাশাপাশি মেলার আনন্দও তিনি উপভোগ করতেন। ১৯১৮ সালে কিশোরী রানুঅধিকারীকে একটি কৌতুকপূর্ণ চিঠিতে তার ‘ভানুদাদা’পৌষ মেলার মজার কথা লিখেছিলেন বেশ তারিয়ে তারিয়ে। রবীন্দ্রনাথ উৎসবের আত্মিক নির্জনতার সঙ্গে মেলার আত্মীয়তাভিলাষী সজনতার মেলবন্ধন ঘটাতে পেরেছিলেন। মেলার অনুভূমিক সজনতার সঙ্গে উপলব্ধির উল্লম্ব নিভৃতিকে কিভাবে মিলিয়ে নেন কবি তার পরিচয় পাওয়া যায় ১৩২১(১৯১৪) সালের ভাষণে সেখানে কবি বলেছিলেন,’এইখানে এই মেলার মধ্যে তাঁর পূজা হয়েছে, এই কোলাহলের মধ্যেই তাঁর স্তব উঠেছে।-এই হাতের রাস্তায় তাঁর পদচিহ্ন পড়েছে।’মানুষের ক্রমশ উত্তরণের যে আকূতি,যে কান্না, তা ‘সমস্ত কোলাহলের আবরণ ভেদ করে নক্ষত্রলোক পর্যন্ত উঠেছে।’ -এমনই ছিল মোটের উপর রবীন্দ্রনাথের বিশ্বাসের জগৎ।


                    ১৮৯১ সালের ৭ পৌষ মন্দির উদ্বোধনের সময় রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে উপস্থিত ছিলেন। ১৮৯৪ সালে শান্তিনিকেতনে প্রথম মেলার বছরও কবি এখানে উপস্থিত থেকে দরিদ্র আতুরদের জন্য ‘ভোজ্য’উৎসর্গ করেছিলেন। সেসময় মেলা বসত মন্দিরের উত্তর দিকের মাঠে, যাকে এখনও ‘পুরনো মেলার মাঠ'(বর্তমান নাম’জগদীশ কানন’) নামেই প্রবীণেরা উল্লেখ করে থাকেন। কাচমন্দিরের লাগোয়া এই মেলা ‘কাচবাংলার মেলা’ নামেও অতীতে পরিচিত ছিল।
         ১৯০১ সালের (বাং ১৩০৮)৭পৌষ শান্তিনিকেতনে  ‘ব্রহ্মবিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন রবীন্দ্রনাথ। ১৮৯৯ সালের ৭ পৌষ কবির ভ্রাতুষ্পুত্র বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঈপ্সিত ‘ব্রহ্মবিদ্যালয়’টির উদ্বোধন করেছিলেন কবির মেজদাদায় সত্যেন্দ্রনাথ। কিন্তু অকালপ্রয়াত বলেন্দ্রনাথের বিদ্যালয়টি বাস্তবায়িত হয়নি। রবীন্দ্রনাথ নতুন আদর্শে, নতুন ভাবনায় ব্রহ্মবিদ্যালয়’গড়ে তোলেন, যা ব্রহ্মচর্যশ্রম’নামেও অভিহিত হতে থাকে। যথাবিহিত ব্রহ্মোপাসনা ছাড়াও ১৯০১-এ যথারীতি পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয় শান্তিনিকেতন। সে বছরের পৌষমেলা সম্পর্কে ‘তত্ত্ববোধিনী’তার প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘খুব জনতা। বেশ ক্রয়-বিক্রয় চলিতেছে। বাউল সম্প্রদায় স্থানে স্থানে নৃত্যগীত করিতেছে। চারিদিকে যেন আনন্দের জোয়ার।’

        প্রসঙ্গত বলা যায়, ১৮৯৪,১৮৯৬ এবং ১৮৯৭ সালের মেলাতেও বাউলদের ‘ভাবে বিভোর’নৃত্য গীতর উল্লেখ পাওয়া যায়। কিন্তু বাউলদের জন্য স্বতন্ত্র আখড়ার ভাবনা অনেক পরে এসেছে বলেই মনে হয়। বাউলদের পাশাপাশি কীর্তনীয়াদের কথাও উল্লেখ করা প্রয়োজন। শুরুর বছরেই (১৮৯৪) মন্দিরে খোলকরতাল সহযোগে রাজকুমারবাবু নামের একজন কীর্তনিয়ার গান পরিবেশিত হয়েছিল।
    ১৯০৪ সালের ‘তত্ত্ববোধিনী’র প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মেলায় ‘স্থানীয় দ্রব্যাদির বিক্রয়ও যথেষ্ট হয়।’মনে রাখতে হবে এ হল স্বদেশী হওয়ার যুগ। শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায় যে গ্রামীণ ও কুটির শিল্পের উপর বিশেষ গুরুত্ব ছিল বলে আমরা জানি, তার প্রচার ও প্রসারের সচেতন উদ্যোগ সম্ভবত এই সময় থেকেই নেওয়া হয়। গ্রামীণ পসরা নিশ্চয় দেখা যেত; কিন্তু তার কারণ নিহিত রয়েছে সেই সময়ের অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে। অর্থাৎ গ্রামীণ কৃষি -অর্থনীতি ছিল সেসময়ের ভিত্তি।মহর্ষির ডিডে বা ‘তত্ত্ববোধিনী’র প্রতিবেদনে কোথাও আলাদা করে সেই অর্থনীতিকে উৎসাহিত করার উল্লেখ নেই।মহর্ষির কাছে ‘ধম্মভাব উদ্দীপনা’ও ব্রাহ্মসসম্মিলনই এলমেলার মূল লক্ষ্য। কিন্তু ১৯০৪-এ ‘স্থানীয় দ্রব্যাদির বিক্রয়’-এর উল্লেখ তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয় কারণ ওই ১৯০৪ সালেই ‘স্বদেশী সমাজের সংবিধান’প্রণয়ন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই ‘সংবিধান’-এ আরও অন্যান্য অঙ্গীকারের মধ্যে এও বলা হয়েছিল যে ‘স্বদেশী দোকান হইতে আমাদের ব্যবহার্য দ্রব্যাদি ক্রয় করিব।’১৯০৫ সালের একটি চিঠিতে দীনেশচন্দ্র সেন কে কবি প্রায় এই অঙ্গীকারেরই প্রতিধ্বনি করে বলেছেন, ‘স্বদেশী ভাবের দিকে দেশের লোকের চিত্ত আকর্ষণ’তখন তার অন্যতম লক্ষ্য। স্বভাবতই সেসময় কবির শান্তিনিকেতনের মেলায় তার প্রতিফলন পড়বে, তা অনুমান করা অসংগত নয়।১৯০৪ সালের মেলা সম্পর্কে ‘তত্ত্ববোধিনী’র আরেকটি পর্যবেক্ষণ ও খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। পত্রিকাটি লিখেছে,’অন্যান্য তীর্থের মেলা দোষ সম্পর্কশূন্য নহে। তথায় অনেক আপত্তিজনক বস্তু অবাধে ব্যবহৃত হয়।-কিন্তু-ব্রহ্ম এই মেলার প্রতিষ্ঠাতা, ইহা সর্বাংশে পবিত্র।-এই উদ্যান-মেলাভূমি শিক্ষা ও দীক্ষাপ্রদ গুরুর ন্যায় জ্ঞানী ও ভক্তের বিশেষ আদরের ও গৌরবের বস্তু। এই মেলার ইহাই বিশেষত্ব।’মেলা বলতে, আজকের তাত্ত্বিক পরিভাষায় যে কার্নিভাল উপাদানের উপস্থিতি বোঝায়, তার থেকে এই মেলা চরিত্র কোথায় আলাদা হওয়া কথা ১৯০৪ সালেই, ব্রহ্মদের একরকম নিজস্ব মুখপত্র ‘তত্ত্ববোধিনী’তা বুঝিয়ে বলেছে!
      ১৯১০ সালে পৌষ-উৎসবের আরেকরকম ব্যক্তি ঘটান রবীন্দ্রনাথ। 

  • বাংলাদেশ-মায়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য ভারতের
    মার্চ বাংলাদেশ-মায়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য ভারতের ৮ মার্চ স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী কিরণ রিজজু জানান, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সঙ্গে স্থলবাণিজ্য বাড়াতে দ্রুত কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থলবাণিজ্য বাড়াতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার মধ্যে একাধিকবার কথা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, ত্রিপুরার আখাউড়ার মতো পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল ও… Read more: বাংলাদেশ-মায়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য ভারতের
  • উত্তর-পূর্ব ভারতে হাইড্রোকার্বন ভিশন ২০৩০
    উত্তর-পূর্ব ভারতে ‘হাইড্রোকার্বন ভিশন ২০৩০ উত্তর-পূর্ব ভারতে হাইড্রোকার্বন ভিশন ২০৩০ : ৯ ফেব্রুয়ারি গুয়াহাটিতে কেন্দ্রীয় ন্যাচারাল গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য ‘হাইড্রোকার্বন-ভিশন ২০৩০’-এর উন্মোচন করলেন। ২০৩০ সালের মধ্যে তেল ও গ্যাসের উৎপাদন দ্বিগুণ করতে, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি তৈরি, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং প্রতিবেশি দেশ গুলিকে সহায়তার জন্য এই ভিশন প্রচলন করা হয়েছে।… Read more: উত্তর-পূর্ব ভারতে হাইড্রোকার্বন ভিশন ২০৩০
  • ৩০ তম সুরাজকুন্দ আন্তর্জাতিক কারু শিল্প মেলা
    ফেব্রুয়ারি ৩০ তম সুরাজকুন্দ আন্তর্জাতিক কারু শিল্প মেলা ১-১৫ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানার ফরিদাবাদের সুরাজ কুন্দে ৩০তম ‘আন্তর্জাতিক কারুশিল্প মেলা’আয়োজিত হল। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার এই মেলার উদ্বোধন করলেন। বর্তমানে সুরাজকুন্দের এই কারুশিল্প মেলা বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম এবং অন্যতম আধুনিক কারুশিল্প মেলা। ভারতের সমস্ত রাজ্যসহ বিশ্বের প্রায় ২০ টি দেশ এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। ভারতীয় ঐতিহ্যমন্ডিত… Read more: ৩০ তম সুরাজকুন্দ আন্তর্জাতিক কারু শিল্প মেলা
  • ভারত -বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে তৈরি হচ্ছে ‘সীমান্ত হাট’
    ভারত -বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী : ৬ জানুয়ারি নতুন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে ‘সীমান্ত হাট’ তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হল। দুই দেশের সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের ব্যাবসায়িক লেনদেন তথা কেনাবেচার সুযোগ করে দিতে ২০১০ সালে এই কর্মসূচি প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সমঝোতাপত্র অনুযায়ী মেঘালয়ে কয়েকটি সীমান্ত হাট গড়ে তোলা হয়। স্থির করা… Read more: ভারত -বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে তৈরি হচ্ছে ‘সীমান্ত হাট’
  • আমাদের শান্তিনিকেতন এবং গনেশ পূজা
    আমাদের শান্তিনিকেতন সৌম্যদীপ রুজ আমাদের শান্তিনিকেতন এবং গনেশ পূজাঃ দিনটি ছিল ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩। সেদিন হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ার এক ঝড় বইতে দেখলাম। যদিও এ ঝড় কিন্তু মোটেই বিনাশকারী নয়, বরং মনোমুগ্ধকর, আপামর ভারতবাসীর গর্ব। আমাদের প্রাণের শান্তিনিকেতনে World Heritage Site ঘোষণা করেছে  UNISCO। আর গুরুদেবের প্রাণাধিক প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় আজ হয়েছে বিশ্বের প্রথম Living Heritage ইউনিভারর্সিটি।সে… Read more: আমাদের শান্তিনিকেতন এবং গনেশ পূজা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top